স্বরণীয় ঘটনা বিনিময়ে ফেসবুকে নতুন পোর্টাল


জীবনের বিশেষ মুহূর্তের ঘটনাবলী এবং অবিশ্বাস্য সব বিষয় নিয়ে লেখা গল্পাবলী প্রকাশ করা যাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। বর্তমানে নতুন একটি পোর্টাল খোলা হয়েছে মাধ্যমটিতে। ফেসবুক সুত্র মতে, নতুন সেবাটি হচ্ছে ফেসবুক স্টোরি অ্যাপ এর সম্প্রসারণ। ফেসবুকস্টোরিজ.কম মাসের ভিত্তিতে ব্যবহারকারীদের ভিডিও,গল্প,লেখা লক্ষণীয় করে প্রকাশ করবে।
প্রতিষ্ঠানের মতে, স্থান, দুরুত্ব সবকিছুই বিবেচনার বাহিরে রেখে জীবনের বিভিন্ন সময়ের, মুহূর্তের বন্ধুদের সাথে নতুন করে সম্পর্ক স্থাপনের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুক।
লক্ষ্য করলে দেখা যায় ফেসবুক কিভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে এ মাধ্যমের সেরা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এর প্রধান সুবিধা এখানকার সদস্যরা সহজ পদ্ধতিতে যোগাযোগ করতে পারে।
ফেসবুকের নতুন সেবা প্রস্তাবে জানানো হয়েছে, সোশ্যাল স্টোরি অ্যাপকে পরিপূর্ণরুপে রুপান্তরিত করা হয়েছে।
ইদানিং বেশিরভাগ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কার্যক্রম প্রতীয়মান হতে দেখা যাবে তাদের স্বরণীয় মুহূর্তের ছবি, ঘটনা যেমন শৈশবে কঠিন রোগের প্রাদুর্ভাব, পথেপ্রান্তরের ছবি এছাড়া অবিশ্বাস্য সত্যের অস্তিত্বকে নিয়ে। 
কেমনভাবে ফেসবুক মানুষের জীবনপ্রণালীতে ভিন্ন ধারা তৈরি করেছে তার ভিডিও এবং গল্প তুলে ধরা হবে ফেসবুকস্টোরিজ.কমে ।এর প্রথম স্মরণীয় তথ্যচিত্রটি হবে ২৯ বছর বয়সী এক যুবকের, যে মারাত্তক মস্তিস্কজনিত রোগে পড়ার পর থেকে এ মাধ্যম ব্যবহার করছে। যে রোগের ভয়াবাহতায় তার স্মৃতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
আরো জানানো হয়েছে নিয়মিত এই সাইটে নতুন বৈশিষ্টযুক্ত করা হবে। উল্লেখ্য ‘দ্য বুকসেল্ফ সেকশনে’ পোষ্টকৃত বিষয়গুলো থাকবে যেগুলো পরামর্শমূলক বইয়ের তালিকায় থাকবে। এর রিডিং সেকশন বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার তালিকা তৈরি করবে। এছাড়াও আছে দ্য প্লেলিস্ট এর স্পটিফাইয়ের মাধ্যমে মিউজিক খোঁজা যাবে। ফেসবুক তার ব্যবহারকারীদের আহবান জানিয়েছে জীবনের চরম মুহূর্তগুলো সর্বত্রের মানুষের সাথে শেয়ার করতে। এজন্য হোমপেজের ‘ অ্যাড ইওর স্টোরি’ বাটনে ক্লিক করে বিস্তারিত পুরণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, টুইটারে এ ধরনের সেবা বর্তমানে চালু আছে। তাই অনুরুপ সেবাটি সামাজিক মাধ্যমের সদস্যদের মধ্যে কতটা চাহিদা তৈরি করে এটাই প্রশ্ন।
Share on Google Plus

About dadasdasdas

My name is Subha. I’m interested in computer science, music and literature. Computers first appeared in my life when I was fifteen. Then I had got my first computer. I remember myself thinking, that it was the best thing in the world. I was playing it whenever I could but some time later, I noticed that I could do a lot more things with the computer, for example programming. So, I have started my graduation in Computer. Later i have decided that I can spread my knowledge among peoples. So, I have started blogging.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments: