কম্পিউটার হ্যাং হবার ১২টি কারণ সমন্ধে জেনে নিন।


হ্যালো ফ্রেন্ড‍‍স ।সবাই কেমন আছো ? আমি খুব একটা ভালো নেই  ৷ বেশ কিছু দিন অশুসথ ছিলাম । তাই আর ONLINE এ আশা হয়নি । আর তোমদের  জন্য কিছু লিখতেও পারিনি.....
 কম্পিউটার হ্যাং হয় নাই এমন লোক আছে বলে আমার মনে হয় না। আর যদি কেউ দাবি করে তার কম্পিউটার হ্যাং হয় নাই তাহলে আমার মতে হ্যাং কি তাই সে জানে না। আজকে আপনাদের কম্পিউটার হ্যাং হবার সাধারণ কয়েকটা কারণ সম্পর্কে জানাব। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন। আর কথা বাড়াব না। এখন আসল কথায় আসি।

হ্যাং বলতে কী বুঝায়?

আমরা প্রয়ই বলে তাকি কম্পিউটার হ্যাং ধরেছে। কিন্তু আসলে হ্যাং বলতে কী বুঝায়? কম্পিউটার যখন তার কাজের ফলাফল ঠিকমত প্রকাশ করে না বা তার কাজের ফলাফল অনেক সময় নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করে তখন কম্পিউটারের এই অবস্থা কে হ্যাং বলে। এটা আমার মতামত অনেকে ভিন্নতা পোষণ করতে পারেন। সকল কাজের পিছনেই একটা না একটা কারণ রয়েছে। ঠিক তেমনি কম্পিউটার হ্যাং হবার পিছনেও কারণ রয়েছে। আর সে কারণগুলোই এখন বলব।

কম্পিউটার হ্যাং হবার কারণ

  • কম্পিউটারের প্রসেসরের মান ভাল না হলেঃ- কম্পিউটারের কাজ করার পরিমাণ নির্ণয় করে কম্পিউটারের প্রসেসর। আর প্রসেসরের মান ভাল না হলে কম্পিউটার হ্যাং হওয়াটাই স্বাভাবিক।
  • কম্পিউটার র‌্যামের পরিমাণ কম হলেঃ- আমরা যখন কোনো কাজ করি তখন সেই কাজটা সম্পন্ন হয় কম্পিউটার র‌্যাম অঞ্চলে। আর এই র‌্যামের পরিমাণ খম হলে কম্পিউটার ঠিকমত কাজ করতে পারে না। এবং কম্পিউটারে হ্যাং ধরে।
  • কম্পিউটার হার্ডডিক্স এর কানেকশন ঠিকমত না হলেঃ- কম্পিউটারের হার্ডডিক্স এর কানেকশন সঠিক না হলে হঠাৎ কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।
  • প্রসেসরের কানেকশন ঠিকমত না হলেঃ- কম্পিউটারের প্রসেসরের কানেকশন ঠিকমত না হলে কম্পিউটার হঠাৎ করে হ্যাং হতে পারে এমনকি এর জন্য কম্পিউটার রিস্টার্ট দেওয়ার পরো ঠিক নাও হতে পারে। কেননা কম্পিউটারের সকল কাজ করে তাকে প্রসেসর।
  • অন্য কোন হার্ডওয়্যারে ত্রুটি থাকলেঃ- এছাড়া অন্য কোনো হার্ডওয়্যার কানেকশন অথবা হার্ডওয়্যারে সমস্যা তাকলে কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।
  • অপারেটিং সিস্টেমে ত্রুটি তাকলেঃ- অপারেটং সিস্টেমে ত্রুটি বলতে কোনো সিস্টেম ফাইল কেটে যাওয়াকে বুঝায়। যার কারণে কম্পিউটারে সমস্যা হতে পারে।
  • কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলেঃ- সাধারণত এই কারণেই কম্পিউটারে বেশী হ্যাং হয়। আর এই ভাইরাস অপারেটিং সিস্টেমের কিছু ফাইলের কার্যপদ্ধতিকে বন্ধ করে দেয় যার কারণে কম্পিউটার প্রয়ই হ্যাং হয়।
  • অনেক প্রোগ্রাম একসাথে চালু করলেঃ- হ্যা এটার কারণে সবচেয়ে বেশী কম্পিউটার হ্যাং হয়। মনে করেন আপনার কম্পিউটার র‌্যাম এর পরিমাণ ১২৮ কিন্তু আপনি অনেক বড় বড় কয়েকটি প্রোগ্রাম চালু করলেন। তাহলে হ্যাং হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেননা তখন কম্পিউটার র‌্যাম ফোল হয়ে যাবে।
  • হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন গেইম চালালেঃ- আপনার কম্পিউটার র‌্যাম যদি কম হয় কিন্তু আপনি যদি হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন গেইম চালান তাহলে কম্পিউটার হ্যাং হয়ে তাকে কেননা তখন র‌্যাম সম্পূর্ণ লোড হয়ে যায়।
  • হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন সফটওয়্যার ব্যাবহার করলেঃ- কম্পিউটার গেইম এর পাশাপাশি কিছু সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো খুব উচ্চ গ্রাফিক্স সম্পন্ন। যা সাধারণ কম র‌্যাম ও কম প্রসেসরের ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটারে চালনা করলে কম্পিউটার হ্যাং হয়।
  • কম্পিউটারের ফাইলগুলো এলোমেলোভাবে সাজানো থাকলেঃ- এই বিষয়ে আমি এই টিউনে বলেছিলাম। কম্পিউটারের ফাইলগুলো এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে তাকলে ঐ সব ফাইল নিয়ে কাজ করতে কম্পিউটারের অনেক বেশী সময় লাগে। যার করণে কম্পিউটার হ্যাং হয়।
  • কম্পিউটারে  অতি উচ্চ মানের এন্টি ভাইরাস ব্যবহার করলেঃ- হ্যা আমরা ভাইরাস হতে মুক্তি লাভের আশায় এন্টি ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করি। কিন্তু অনেক সময় কম্পিউটারের মানের কথা না ভেবেই উচ্চ ক্ষমতা ও উচ্চ মানের এন্টি ভাইরাস ব্যবহার করে তাকি যার কারণে কম্পিউটার হ্যাং হয়।
Share on Google Plus

About dadasdasdas

My name is Subha. I’m interested in computer science, music and literature. Computers first appeared in my life when I was fifteen. Then I had got my first computer. I remember myself thinking, that it was the best thing in the world. I was playing it whenever I could but some time later, I noticed that I could do a lot more things with the computer, for example programming. So, I have started my graduation in Computer. Later i have decided that I can spread my knowledge among peoples. So, I have started blogging.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments: